জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: হিজরী নববর্ষ ১৪৪৩ উপলক্ষে দেশবাসি ও বিশ্ব মুসলিমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হিজরি নববর্ষ বয়ে আনুক করোনামুক্ত পৃথিবীর এক নতুন পয়গাম।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) হিজরী বছর ১৪৪৩ উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এই আশা প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহম্মদ (সা.)-এর মহান জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি যুগান্তকারী ঘটণা অবলম্বনে প্রবর্তিত হিজরী বর্ষ। হযরত রাসুল (সা.) ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্যে এবং আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক ইসলামের আলোকে সত্য, ন্যায় ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৪৪৩ বছর আগে মাতৃভূমি ত্যাগ করেছিলেন । মাতৃভূমি মক্কা শরীফ ত্যাগ করে মদীনা মুনাওয়ারায় হিজরত করেছিলেন ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থ ও কল্যাণে। হিজরতের মধ্য দিয়ে সত্যের জন্যে আপসহীন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়, যা মুসলিম মননকে যুগে যুগে প্রেরণা দিয়ে আসছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, হিজরি সন ও তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ হিজরি সন এমন একটি সন, যার সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যের ভিত্তি সম্পৃক্ত। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কৃষ্টি–কালচারে ও মুসলিম জীবনে হিজরি সনের গুরুত্ব অপরিসীম।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, মহররম মাসেই সংঘঠিত হয়েছিল ঐতিহাসিক কারবালা। এ মাসে রয়েছে ফজিলতপূর্ণ ‘আশুরা’। মানবজাতির পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই নানা ঘটনাপ্রবাহের ঐতিহ্য বহন করছে মহররম মাস। কাজেই মুসলিম উম্মাহর কাছে হিজরি সনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সর্বোপরী মুসলিম জীবনে হিজরী সনের প্রভাব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এজন্য হিজরী বর্ষের হিসাব রক্ষা করাও মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য।
নেতৃদ্বয় বলেন, আসুন, হিজরী নববর্ষের শুভাগমনের এই মহতি সন্ধিক্ষণে অতীতের গুনাহ হতে তওবা করি। বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। জীবনের অনন্ত যাত্রায় একে অন্যের সহযোগী ও কল্যাণকামী হই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি ভয়াহত করোনা মহামারি হতে তিনি আমাদের মুক্তি দিন। আমিন।